
হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও গাজা পুনর্গঠনে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন ভাষণে পশ্চিম তীরের হামাস নেতা জাহের জাবারিন বলেন, “আমরা নিশ্চিত করছি যে হামাস এই চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ — যা যুদ্ধের অবসান, আমাদের জনগণকে আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা এবং পুনর্গঠনের সূচনা নিশ্চিত করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের জনগণের ওপর কোনো আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান মেনে নেব না। এখন সময় এসেছে ফিলিস্তিনি জনগণকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার।”জাবারিন সতর্ক করে বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দীদের অব্যাহত আটক রাখা সংঘাতের আগুন জিইয়ে রাখবে। তার ভাষায়, “বন্দী ইস্যু আমাদের জাতীয় সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অংশ — এটি নৈতিক ও জাতীয় মূল্যবোধ, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বীরদের হাতে পৌঁছে গেছে।”
চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং আরও ১০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এর বিনিময়ে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে বন্দী বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী ধাপগুলোতে গাজা পুনর্গঠন ও হামাসবিহীন নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের কথা রয়েছে।
হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও গাজা পুনর্গঠনে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৬৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ এ উপকূলীয় অঞ্চল এখন কার্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।